প্রকাশিত: ০১/০৪/২০১৮ ১০:১২ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৪:৪৫ এএম

ডেস্ক রিপোর্ট::
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে ৮৪ লাখ ৯২ হাজার টাকা পাওয়া গেছে। ৮৪ দিন পর দানবাক্স খোলার পর প্রতিদিন গড়ে এক লাখ টাকার বেশি জমা পড়ার বিষয়টি জানা যায়।
সর্বশেষ গত ৬ জানুয়ারির পর গতকাল শনিবার মসজিদের আটটি দানবাক্স খুলে গণনা করা হয়। এতে নগদ টাকা ছাড়াও বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে।
গত বছরের ২৬ আগস্ট গণনার চার মাস ১১ দিন পর গত ৬ জানুয়ারিতে দানবাক্স থেকে এক কোটি ২৭ লাখ ৩৬ হাজার ৪৭১ টাকা পাওয়া গিয়েছিল, যা ছিল পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে সর্বোচ্চ টাকাপ্রাপ্তির ঘটনা।

দানবাক্সগুলো খোলা ও টাকা গণনাকাজে তদারককারী জেলার অতিরিক্ত জেলা হাকিম (এডিএম) আলমগীর হুছাইন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মসজিদের আটটি দানবাক্সে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, ডলার, রিয়ালসহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রা পাওয়া গেছে।
দানবাক্সগুলো খোলা ও টাকা গণনার সময় নির্বাহী হাকিম আবু তাহের মো. সাঈদসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য ও দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী হাকিম আবু তাহের মো. সাঈদ জানান, যে স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে, তা আগের স্বর্ণালংকারের সঙ্গে রেখে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দানে পাওয়া গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি প্রতি সপ্তাহের নির্ধারিত দিনে নিলামে বিক্রি করা হয়।
কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে আনুমানিক চার একর জায়গায় ‘পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্স’ অবস্থিত। প্রায় আড়াইশ বছর আগে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয় বলে ইতিহাস সূত্রে জানা যায়। এই মসজিদের প্রতিষ্ঠা নিয়ে অনেক কাহিনী প্রচলিত আছে, যা ভক্ত ও মুসল্লিদের আকর্ষণ করে।
তিনতলা ও তিন গম্বুজবিশিষ্ট পাগলা মসজিদের সুউচ্চ মিনার বহুদূর থেকে নজরে আসে। এ ছাড়া একটি এতিমখানা ও হাফেজি মাদ্রাসা কমপ্লেক্সের অন্তর্ভুক্ত আছে। সম্প্রতি কমপ্লেক্সের জায়গায় একটি কবরস্থান প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

দানবাক্সের প্রাপ্ত অর্থে মসজিদ ও কমপ্লেক্সের অন্তর্ভুক্ত এতিমখানা, মাদ্রাসা, কবরস্থানের ব্যয় নির্বাহ ছাড়াও জেলার অন্যান্য মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানাসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং দুস্থ মানুষকে সহায়তা প্রদান করা হয় বলে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য সাইফুল হক মোল্লা দুলু জানিয়েছেন।

পাঠকের মতামত